সব এমপি-মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব চান: দুদককে আহ্বান মওদুদের

দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)-কে উদ্দেশ্যে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকার তো করবে না, আপনাদের একটু যদি সাহস থাকে তাহলে আপনারা সকল এমপি ও মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব চান। আসল জিনিস তখন বের হয়ে আসবে যে, তারা এই শাসন আমলে কত অর্থ সঞ্চয় করেছেন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল এই সরকারের জন্য একটা ব্যাড লাক। কারণ হলো, এই সরকার সত্যিকার অর্থে সংবিধানসম্মত নির্বাচিত সরকার নয়। আর গত ২৯ ডিসেম্বর একটা সিভিলিয়ান ক্যু’র মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই একটি ভোটবিহীন সরকার দেশ পরিচালনা করতে শুরু করেছে। সেজন্য ব্যাড লাক তো আসতে বাধ্য।

তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে যে নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচার, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও কুশাসন চলেছে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ২০১৯ সালে। প্রথমে তারা (সরকার) মাদক ও ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে অভিযান শুরু করলেন, অনেক অভিযান করেছেন। অনেক মানুষকে ক্রসফায়ারে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন। কিন্তু একজন গডফাদারকেও তারা ধরতে পারে নাই। কারণ এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আর এটা এখনো চলছে। তারা কিছুই করতে পারে নাই। সুতরাং এগুলো হচ্ছে আইওয়াশ।

মওদুদ বলেন, মাদক ও ইয়াবার পর ছাত্রলীগের শোভন ও রাব্বানীর কাণ্ড কাহিনি শুরু হলো। গত ১০ বছর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করেছে। কিন্তু সেই সময় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারপরে আসলো যুবলীগের খালেদ, শামীম ও সম্রাটের কাহিনি। এটা তো কিছুই না। ধরা পড়েছে বলে আজকে তাদেরকে নিয়ে আলোচনা। কিন্তু ক্যাসিনো থেকে সরকারের মন্ত্রীরা এবং প্রশাসনের যারা শেয়ার পেতেন, তাদের এমন একটা ভাব যে, তারা কিছুই জানেন না।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করে এসেছেন। আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। যখন গঙ্গার পানির একপেশেভাবে ভারত নিয়ে যেতে শুরু করলো, তখন আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারতকে বাধ্য করেছিল গঙ্গা পানি চুক্তি করতে।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে তিনি শুধু ভারতকে দিয়ে এসেছেন। কোনো কিছু আনতে পারেননি। এবারের সফরেও তিনি বাংলাদেশের জন্য কিছুই আনতে পারেননি। সুতরাং তিনি যতই বলেন বাংলাদেশের স্বার্থ বিক্রি করি নাই, একথা এখন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু মোজাফফর মো: আনাছের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: