করোনাভাইরাসে চীনে বাড়ছে লাশের সারি

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২৫ জনে। দিন যত যাচ্ছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে চীন। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল দেশটির উহান শহরসহ বেশ কিছু শহর এখন প্রায় জনমানবশূন্য। এদিকে ভারতের কেরালায় গত দুই সপ্তাহে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরই জেরে রাজ্য সরকার করোনাভাইরাসকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনে ক্রমেই ভয়ানক হচ্ছে করোনাভাইরাস। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উহান শহরে আরও অনেক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া দেশটির অন্যান্য শহরেও মারাত্মক আকার ধারণ করবে করোনাভাইরাস।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চীন। দেশটির বিভিন্ন শহরে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে সাধারণ মানুষ খাবার সংকটে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীনে গমনাগমন বন্ধ করে দিয়েছে। স্থগিত রয়েছে বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এমনকি চীন থেকে ফিরতে চাওয়া মানুষদের ভিসা সুবিধাও বন্ধ করে দিয়েছে অধিকাংশ দেশ। ফলে কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা চীন।

স্থবির হয়ে পড়েছে চীনের পর্যটন খাত। এছাড়া দেশটির শেয়ারবাজারেও বড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। যা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে লোকসানের খবর। এদিকে চীনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চীন। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের প্রভাব বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও পড়বে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতি গবেষকরা।

তবে চীন সরকারের দাবি, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে না দাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

এদিকে ভারতের কেরালা রাজ্যের কাসারগড়ে তৃতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর পরই করোনাভাইরাসকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, রোগীদের হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ রাখা হয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। আক্রান্তদের নিবীড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on: