বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে বারবার বিল গেটসের নাম উঠে আসছে। তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো অভিযোগ আনা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন করোনা ছড়ানো নিয়ে সরাসরি বিল গেটসের দিকেই আঙুল তুলেছে।
চ্যানেল ওয়ান নামে দেশটির ওই টিভি চ্যানেলটি বলছে, মহামারীর পেছনে বিল গেটসের হাত রয়েছে। ভাইরাসের ব্যাপারে তিনি আগেই জানতেন। বলা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়ে থাকেন এ মার্কিন ধনকুব। এর পেছনে তার বড় স্বার্থ রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ভ্যাকসিন বাণিজ্য থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবে তার জনসেবা প্রতিষ্ঠান বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস।
তবে, এসব অভিযোগ গায়ে মাখছেন না বিল। তার সব মনোযোগ করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবন নিয়ে। তিনি বলছেন, একমাত্র ভ্যাকসিনই এ মহামারী থামাতে পারে। এজন্য পৃথিবীর সবার জন্য ১৪০০ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। খবর- স্নুপস, বিজনেস ইনসাইডার ও নিউজউইক
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরপরই এর উৎপত্তি ও উৎস নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় এবং তা অব্যাহত হয়েছে। কে কোথায় কীভাবে ছড়াল তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এর ধারাবাহিকতায় অভিযোগ ওঠে, ভাইরাস ছড়ানোর পেছনে প্রযুক্তি ব্যবসায়ী বিল গেটস এবং বিনিয়োগ মোগল খ্যাত জর্জ সরোসের মতো অতি ধনীদের হাত রয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে একই দাবি করেন যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মানবাধিকারকর্মী পিয়ার্স করবিন। তিনি করোনার জন্য সরাসরি বিল গেটস ও জর্জ সরোসের নাম করে বলেন, তারা মানবজাতি ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চান।
বিল গেটসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে সম্প্রতি তার বেশকিছু সাক্ষাৎকার সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ‘জর্জ’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিলিয়নিয়ার বিল গেটস। তিনি বলেছিলেন, ফুসফুস আক্রান্তকারী ভাইরাসের কবলে পড়বে বিশ্ব। সেইসঙ্গে ভাইরাসটির কারণে মানবজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জর্জ ম্যাগাজিনের আর্নো কারলেনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, ‘অতি জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ এ গ্রহ ফুসফুস আক্রমণকারী একটি ভাইরাসের কবলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে।’
শুধু ১৯৯৭ সালেই নয়, পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কয়েকবার মহামারী নিয়ে নিয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
টাইমস/জিএস