প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে যারা সেরে উঠছেন, তারা আবার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, এ প্রশ্ন অনেকেরই। এর সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি মুক্তির উপায় নিয়েও চিন্তার শেষ নেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকেরা জানান, একজন মানুষের শরীরে অল্প সময়ের ব্যবধানে নোভেল করোনাভাইরাস খুব সহজে দ্বিতীয়বার সক্রিয় হতে পারে না। তবে নির্দিষ্ট একটা সময় পর সেরে ওঠা ব্যক্তি আবার আক্রান্ত হলেও হতে পারেন।
সাউথ কোরিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টারকে উদ্ধৃত করে দ্য কোরিয়ান হেরাল্ড জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় সেরে উঠা ২৯২ জনকে দ্বিতীয়বার যে পজিটিভ ধরা হয়, সেটি আসলে টেস্টের ভুলে হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ওই রোগীদের কথা শুনে কোভিড-১৯ নিয়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তা বেড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল চীনের আশঙ্কা অনুযায়ী, সত্যিই একজন মানুষ এই ভাইরাসে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হতে পারেন।
কারণ, চীন মার্চ থেকে বলছে তাদের দেশে সুস্থ হওয়া মানুষ একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গবেষকদের দাবি, এটি গণহারে হবে না। অল্প কিছু মানুষ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হতে পারেন।
একটি অঞ্চলের অনেক মানুষ একসঙ্গে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা জাগতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার এমন খবরে প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কোভিড-১৯ কি রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে করে দেয়?
দেশটির গবেষক ডা. ওহ মায়ং-ডন বলছেন, “ব্যাপারটি তেমন নয়। সুস্থ হওয়া রোগীর শরীরে মৃত ভাইরাসের যে অ্যাসিড ছিল সেটি টেস্টে শনাক্ত হয়। এটি কয়েক মাস পর্যন্ত একজন মানুষের শরীরে থাকতে পারে।”
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর একজন মানুষের শরীরে যে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি আবার সক্রিয় হওয়া কঠিন।’
টাইমস/জিএস