করোনার শতভাগ সফল অ্যান্টিবডি চিহ্নিত, চার দিনেই সুস্থ!

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে আণুবীক্ষণিক জীব নোভেল করোনাভাইরাস। গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। কোনো ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে। এখনও সফলতার মুখ দেখেননি।

অবশেষে আশার বাণী শুনিয়েছেন মার্কিন বায়োফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠান সোরেন্টো থেরাপিউটিকস। প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ কার্যকর করোনাভাইরাস প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি চিহ্নিতে দাবি করেছে। এরই মধ্যে তারা প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে। তবে, দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখনও অনুমোদন দেয়নি।

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাত্র চার দিনেই সুস্থ করতে সক্ষম আবিষ্কৃত এসটিআই-১৪৯৯ নামের অ্যান্টিবডি। তাদের আশা এই অ্যান্টিবডি যদি মানবদেহে ক্লিনিক্যাল কার্যকর করা হয়, তাহলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে উন্মোচন হবে নতুন দিগন্ত।

সোরেন্টোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার না হবে, ততদিন তাদের তৈরি অ্যান্টিবডি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে তারা মাসে এ অ্যান্টিবডির ২ লাখ ডোজ তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছে।

ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সোরেন্টোর প্রধান নির্বাহী ড. হেনরি বলেন, “আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, প্রতিকার এসে গেছে। আমরা এমন সমাধান নিয়ে এসেছি, যা শতকরা ১০০ ভাগ কাজ করে। যদি আমাদের দেহে অ্যান্টিবডি থাকে তাহলে সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজন নেই। কোনো ভয়ভীতি ছাড়া সবাই সমাজে চলাফেরা করতে পারবেন।”

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে প্রবেশ করানোর পর করোনা সংক্রমণ শতভাগ থামিয়ে দেয়। তবে, এ আবিষ্কারে খুব বেশি আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এ অ্যান্টিবডি কতক্ষণ কাজ করবে তা নিয়েই শঙ্কা তাদের।

এক বিবৃতিতে সোরেন্টো জানিয়েছে, তারা মাসে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি উৎপাদন করতে পারবে তাতে টিকা আসার আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত আকারে তা পাওয়া যাবে। এজন্য তারা এফডিএর কাছে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। তাদের এমন ঘোষণায় সোরেন্টোর শেয়ারমূল্য শতকরা প্রায় ২২০ ভাগ বেড়ে গেছে।

এদিকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আনতে ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ নামে এক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, টিকা আসুক বা না আসুক আমরা ফিরছি। শরতেই স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে। অর্থনীতিও সচল হবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: