করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এটি সুন্দরবনে আঘাত হানবে বুধবার বিকালে। তখন এর গতি অনুমান করা হচ্ছে প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার। এ সময় ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিভাগ।
সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। দেশের আবহাওয়াজনিত মাপকাঠিতে এটাই সর্বোচ্চ সংকেত।
এ পরিস্থিতিতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করতে পারে, সে জন্য নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেয়ার কথা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগের পাশাপাশি সুরক্ষার স্বার্থে নিজেরও যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।
চলুন জেনে নিই, ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে কী করবেন
- ঝড় শুরু হলে বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগের মেন সুইচ বন্ধ করে দিন।
- বাড়ির সব দরজা জানালা বন্ধ রাখুন।
- ঝড়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে আগে থেকেই মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ দিয়ে রাখুন।
- বাড়িতে ধারালো কোনো জিনিস খোলা অবস্থায় থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ঝড়ের মধ্যে বাড়িতে কোনো ধারালো জিনিস উন্মুক্ত রাখবেন না।
- পোষ্য প্রাণীদের বাঁধনমুক্ত করুন, যাতে বিপদ বুঝলে ওরাও নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।
- ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যদি কোনোভাবে বাড়ির বাইরে থাকেন, তাহলে খোলা রাস্তায় বা গাছের নীচে দাঁড়াবেন না।
- বাড়ির বাইরে থাকলে ঝড় শুরু হলে দ্রুত আশ্রয় নিন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বা জীর্ণ পাকা বাড়ি এবং কাঁচা বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না।
- বিপদ বুঝে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় বা পাকা বাড়ি খুঁজে নিন।
- ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ ও তার ধারালো অংশের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
- ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার মধ্যেও সতর্ক থাকুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে।
- মাস্ক পরতে এবং বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
- যদি দুর্যোগের পরে কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্যান্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়, সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
- যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বিভিন্ন সংক্রামক অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন পরিস্রুত জল পান করতে।
টাইমস/জিএস