প্যাকেটজাত খাবারেও হতে পারে করোনা!

লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়িতে থেকে বার বার হাত ধোয়া, মাস্ক পরার মতো যাবতীয় নিয়ম মানার পরও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কীভাবে তারা সংক্রমিত হচ্ছেন তার কোনো উত্তর নেই। বরং যত দিন যাচ্ছে ততই গবেষণায় উঠে আসছে নতুন তথ্য।

সম্প্রতি চিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু ফ্রোজেন চিংড়ি মাছের প্যাকেটেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন ভয়। এমনকি প্যাকেটজাত হারবাল পাতাতেও মিলেছে করোনাভাইরাস।

যদিও বিজ্ঞানীদের মতে, ফ্রোজেন খাবার খেয়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ প্যাকেটজাত খাবার খেয়ে শ্বাসকষ্ট হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনও মেলেনি। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি হাঁচি বা কাশি থেকেই সবচেয়ে বেশি ছড়ায়।

তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যাকেটজাত খাবারও ভালো করে গরম করে তবেই খান। সবচেয়ে ভালো ফোটানো খাবার খাওয়া। এছাড়াও ঠান্ডা মাছ বা মাংস এড়িয়ে চলুন।

সম্প্রতি, চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের চিফ এপিডেমিওলজিস্ট বলেছিলেন, যে এই ভাইরাস খাবারের পৃষ্ঠের উপরে তিন মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

তবে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞ স্বীকার করেছেন যে, এখন পর্যন্ত দূষিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো প্রমাণ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমন্বিত গ্লোবাল আউটব্রেক অ্যালার্ট এবং রেসপন্স নেটওয়ার্কের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, খাবার সংরক্ষণের সময় ভাইরাসগুলি ফ্রোজেন হয়ে যায়। সুতরাং, খাবার প্যাকিং করার সময় যদি কোনোভাবে ভাইরাস ঢুকে যায় তাহলে তা বেঁচে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, এটি যত ঠান্ডায় থাকবে ততই দীর্ঘতর স্থায়ী হবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: