শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এঘটনা ঘটেছে। টানা তিন বছর ধরে ওই শিক্ষক তার ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিল বলে অভিযোগ তরুণীর।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আত্মহত্যা করার আগে ওই ছাত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেশে এমন শিক্ষক আর কোনও ছাত্রীর জীবনে না আসুক। সবাই আমায় মাফ করবেন।’
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। তিনি কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৭ সালে উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন তিনি। বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনিতে পড়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীণ গণিত শিক্ষক রাসেল আহমেদের কাছে তিনি প্রাইভেট পড়তেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। প্রাইভেট পড়ার সময় রাসেল ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে শিক্ষক রাসেল। সম্প্রতি রাসেল গোপনে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। এ খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার আগে ওই ছাত্রী তার ফেসবুকে লেখেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ছাত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে আমার প্রিয় শিক্ষক। আর সেই ভাগ্যবান ছাত্রী আমি নিজে। আল্লাহ আমায় মাফ করো। দেশে এমন শিক্ষক আর কোনও ছাত্রীর জীবনে না আসুক। সবাই আমায় মাফ করবেন। সদ্য এসএসসি পাস করা একটা মেয়ে বিয়ের মানে- এসব জানতামই না। ভদ্র স্যারকে বিশ্বাস করতাম, যা বলতো তাই শুনতাম। যাই হোক, ভাল থাক সে....বিদায়।
এই লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেই আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন।
টাইমস/এসএন