ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মলিয়াট ইউনিয়নের সুইতলা মল্লিকপুরে ১১ একর জমিতে শাখা প্রশাখা মেলে স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বটগাছ। কবে কখন কে এই বটগাছটি রোপণ করেছিলেন তার কোনো সঠিক তথ্য না থাকলেও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে বটগাছটির বয়স প্রায় তিনশত বছর।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে এই মল্লিকপুর। বিশ্বব্যাপী মল্লিকপুরের এ বটগাছটির পরিচিতি ঘটে ১৯৮২ সালে। বিবিসি’র একটা জরিপের ফলাফলে প্রকাশিত হয় ‘মল্লিকপুরের এই বটগাছটিই এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ’।
১৯৮২ সালের আগে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছ বলে পরিচিত ছিল কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেনের একটি গাছ। পরবর্তিতে বিবিসির এক তথ্যানুষ্টানে মল্লিকপুরের বটগাছটিই এশিয়ায় সর্ববৃহৎ বটগাছ বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যে গাছটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে করে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, মূল গাছটি এখন আর চেনার উপায় নেই।
২০০৯ সাল থেকে গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা করছে সামাজিক বন বিভাগ, যশোর। বৃহত্তম এ বটবৃক্ষকে ঘিরে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র। নীরব প্রকৃতির সান্নিধ্যে বিদগ্ধ সময়ের যাপিত জীবনের নিবিড়তার সন্ধানে এখানে ছুটে আসেন ভ্রমণপিয়াসু মানুষ।
পরিবার পরিজন নিয়ে নির্মল প্রকৃতির কাছে মানুষ কিছুটা সময় ডুবে যায় স্নিগ্ধ শীতলতায়। বৃহত্তর যশোর এলাকায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পর্যটন স্পট না থাকায় মল্লিকপুরের বটবৃক্ষ ও তার ছায়া সুশীতল সুনিবিড় উদ্যান এখন ডমেস্টিক ট্যুরিজমের এক অনন্য নাম। সময়ের চাহিদা পুরণে বনবিভাগ যশোর স্থানটির উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মল্লিকপুরের বটতলায় নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা এখন সময়ের ব্যাপার, যা জনচাহিদার পরিপূরক বলে মনে করেন বনবিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
টাইমস/এসএন