এবার নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : প্রধান দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া রোববার একলাশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে রহমত উল্যাহ (৪১)।

সম্প্রতি ভিকটিম গৃহবধূ মামলা করার পরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতন ও তার ভিডিও ধারণের ঘটনা একমাস আগের হলেও প্রাণনাশের ভয়ে এতদিন বিষয়টি চেপে রেখেছিলেন গৃহবধু ও তার পরিবার।

গৃহবধূর স্বজনরা জানান, নির্যাতনকারী মূল অপরাধী স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কিন্তু তারা গৃহবধূকে বারবার প্রাণনাশ ও এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো। যে কারণে মামলা করেছেন গৃহবধূ।

জানা গেছে, বিয়ে হলেও ওই নারী তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। স্বামী তার নিজের বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় গৃহবধূকে উত্যক্ত করে আসছিল স্থানীয় রহিম, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা।

গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার স্বামী। এসময় অভিযুক্ত বখাটেরা ওই গৃহবধূকে জিম্মি করে টাকা পয়সা দাবি করে। গৃহবধূ তাতে রাজি না হওয়ায় বখাটেরা তাকে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক নির্যাতন করে।

এমনকি নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে দোষীরা। কিন্তু তারা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে সম্প্রতি ওই নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে রাতেই থানায় পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভিকটিম।

এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: