পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের এক পাহাড়ের গায়ে বিশাল আকৃতির বিড়ালের চিত্র আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞানীদের ধারণা ১২১ ফুট বিস্তৃতির এই চিত্রটি বিখ্যাত নাজকা লাইনের অংশবিশেষ। নাজকা লাইন হলো লিমার ২৫০ কি.মি. দক্ষিণে অসংখ্য প্রাচীন চিত্রের সংকলন।
স্থানীয় একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানের সংস্কারকার্য পরিচালনার সময় এই বিশাল বিড়ালের চিত্রটি আবিষ্কৃত হয়। এছাড়াও গত শতাব্দীতে এই অঞ্চলে বানর ও হামিংবার্ডসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রাচীন চিত্রকলা আবিষ্কৃত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, চিত্রটি খুব একটা স্পষ্ট ছিল না। ঢালে অবস্থিত হওয়ায় এবং প্রাকৃতিক ক্ষয় প্রক্রিয়ার ফলে এটি হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
পরিষ্কার করণ এবং সংরক্ষণের কাজ শুরু করার পর প্রত্নতাত্ত্বিকগণ ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার (১২ থেকে ১৬ ইঞ্চি) প্রস্থের বিভিন্ন রেখা আবিষ্কার করেছেন। শিল্পকর্মের শৈলীটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি ২০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দের মধ্যে প্যারাকাস পিরিয়ডে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
প্রাক-হিস্পানিক সমাজের লোকেরা এই নাজকা লাইন বা রেখাগুলো তৈরি করেছিল। তারা পাথুরে অঞ্চলের ওপরের অংশের শিলা এবং নুড়িগুলোর প্রাথমিক স্তর সরিয়ে অভ্যন্তরের হালকা রঙ বের করে এইসব চিত্রকর্ম সম্পাদন করে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ অঞ্চলে প্রাণী, পাখি, গাছপালা এবং প্রতিদিন ব্যবহৃত জিনিসপত্রের বৃহৎ আকারের বিভিন্ন চিত্র খুঁজে পেলেও মানব আকৃতির চিত্র খুব একটা পাননি।
১৯৯৪ সালে নাজকা লাইন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ৪৫০ বর্গ কি.মি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই নাজকা লাইন ৫০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ৫০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তথ্যসূত্র: সিএনএন
টাইমস/এনজে/এসএন