সংশোধিত এডিপি অনুমোদন: যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ

এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। মঙ্গলবার (২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অনুমোদন দেন। এবারের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার ২১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা মোট বরাদ্দের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) বৈঠক শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

সচিব জয়নুল বারী বলেন, আরএডিপির মোট বরাদ্দ হলো দুই লাখ নয় হাজার ২৭১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের ১১ হাজার ৬২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি বাদ দিলে আমাদের সরকারের সংশোধিত মূল এডিপি হলো এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ বা জিওবি থেকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ-অনুদান ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

তিনি আরও জানান, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ধরা হচ্ছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মূল এডিপির তুলনায় প্রস্তাবিত সংশোধিত এডিপির বরাদ্দ কমেছে সাত হাজার ৫০১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশনের সচিব জানান, সংশোধিত এডিপির জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মোট দুই লাখ তিন হাজার ৮৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা জমা দেয়া হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। পরে সবকিছু বিবেচনা করে সংশোধিত এডিপির আকার এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা প্রস্তাব করে পরিকল্পনা কমিশন।

এদিকে একটি সূত্র বলছে, মূল এডিপি ও সংশোধিত এডিপিতে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র হ্রাস বা জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উত্তরণকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।

এরই আলোকে এডিপি/আরএডিপি প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য ঘাটতি পূরণ, সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা, নারীর ক্ষমতায়ন, অপরাধ দমন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মসূচির প্রসার ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ণের গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: