ধনী দেশগুলো যদি এখনি তাদের কাছে থাকা বাড়তি টিকার বড় একটি অংশ দরিদ্র দেশগুলোতে না পাঠায় তাহলে করোনাভাইরাস টিকার লাখ লাখ ডোজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ।
জাতিসংঘের এই শিশু বিষয়ক তহবিল বলছে, সারাবছর ধরেই কোভিড টিকার বিঘ্নহীন সরবরাহ দরকার, কারণ একবারেই সব টিকা প্রয়োগ করতে পারার সঙ্গতি দরিদ্র দেশগুলোর নেই।
যুক্তরাজ্য এবং বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে তাদের বাড়তি ডোজ দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে দেশগুলোকে এখন সেসব ডোজ দ্রুত সরবরাহে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
ধনী দেশগুলোকে ‘এখনি টিকা দান’ করতে ইউনিসেফের অনুরোধে বিলি আয়লিস ও ডেভিড বেকহামের মতো তারকারাও সংহতি জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউনিসেফের লিলি কাপরানি বলেন, এক পর্যায়ে, সন্দেহাতীতভাবেই আমাদের ১৮-র কম বয়সীদেরও টিকা দিতে হবে। কিন্তু এই মুহুর্তের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সমগ্র বিশ্বের ঝুকিপূর্ণ ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে পাওয়া উচিত এমন গোষ্ঠীগুলোর টিকা নিশ্চিত করা।
ইউনিসেফের কর্মকর্তা কাপরানি জি-৭ দেশগুলোকে এখনি টিকা দান করা শুরুর পাশাপাশি পুরো বছরজুড়েই এই দান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন ‘স্বল্প আয়ের দেশগুলোকে অল্প অল্প করে নিয়মিত সররবরাহ করা দরকার, যেন ওই টিকাগুলো বিমানবন্দরের টারমাক থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের হাতে পৌঁছায়,’।
এদিকে কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছিলেন, তারা এখন অন্য দেশে টিকা পাঠানোর আগে নিজেদের শিশুদের টিকা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তিনি জানান তাদের কাছে এখন কোভিড টিকার কোনো বাড়তি ডোজই নেই।
যুক্তরাজ্যের মতো বেশিরভাগ ধনী দেশের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমনটা হলেও বিশ্বে এমন অনেক দেশও আছে, যারা এখনও টিকার প্রথম চালানই পায়নি। দরিদ্র অনেক দেশ ভ্যাকসিনের জন্য কেবল কোভ্যাক্সের ওপরই ভরসা করে আছে।
টাইমস/এসজে