সালিস করতে গিয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করার ঘটনায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আলোচিত সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়েছেন সেই কিশোরী। বিয়ের পরদিনই ওই কিশোরী নিজের বাবার বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও দেখুন- সালিসে গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করলেন চেয়ারম্যান
বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার (৬০) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিশোর-কিশোরী প্রেমের সম্পর্কের জেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মীমাংসা করতে যান চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এসময় ওই কিশোরীকে দেখে পছন্দ হওয়ায় জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করেন।
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেলে বিতর্কের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।
এদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে দ্বিতীয় বিয়ে করা প্রসঙ্গে শাহিন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, একজন সামর্থ্যবান পুরুষ পাঁচটাও বিয়ে করতে পারে। আমার প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তানের অনুমতি নিয়েই আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। এসময় দ্বিতীয় স্ত্রী ওই কিশোরী অপ্রাপ্তবয়ষ্ক বলে স্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
টাইমস/এসএন