জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার সড়কের এ ঘটনা ঘটে।
ই-অরেঞ্জ মালিক যিনি একজন পুলিশ সদস্য আর তার বিরুদ্ধে স্লোগান এবং টাকা ফিরে পাওয়ার দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা।
সকালে প্রথমে মানববন্ধন ও পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দিকে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। পুলিশ ও গ্রাহকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয় ।এ ঘটনায় ৩ জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। আটক হওয়া দুজনের মধ্যে একজন ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কমিটির নেতা আশিক মাহমুদ অন্তু। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটকের পর তাঁদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এদিন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। স্বাভাবিকভাবেই সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি। এর মধ্যে তারা মিছিল করছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।
এর আগে সেখানে তারা মানববন্ধন করেন। এসময় পুলিশির সাথে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশ ও গ্রাহকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ বিক্ষুব্ধ ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের ধাওয়া দিয়ে ও লাঠিপেটা করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
মানববন্ধনে ই-অরেঞ্জের মালিক পুলিশ সদস্য সোহেলের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করে গ্রাহকরা। ই অরেঞ্জ যেহেতু অরেঞ্জ বাংলাদেশের সিস্টার কনসার্ন তাই ভুক্তভোগীদের সকল দায় মূল প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে বলেও জানান তারা। ই-অরেঞ্জ সংক্রান্ত সকল মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির দাবিও করেন তারা।
একই সাথে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না আসা পর্যন্ত সকল আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করার আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।