মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হিমেল বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।
ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মানাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে এসে রাতভর তান্ডব চালায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পাথরবাহী ট্রাক মোটরসাইকেল আরোহী ২ ছাত্রকে চাপা দেয়। এতে হিমেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার বন্ধু রিমেল।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রক্টর লিয়াকত আলী ঘটনাস্থলে আসলে তাকে ধাওয়া দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, প্রায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে ২০তলা একাডেমিক ভবনের কাজ চলছে। ভবন নির্মাণের মালামাল আনা-নেয়া করতে প্রচুর ট্রাক ক্যাম্পাসে যাতায়াত করছে। তবে এসব ট্রাকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তেমনই এক বেপরোয়া ট্রাক হিমেলের প্রাণ কেড়ে নেয়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ৬টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। এদিকে আজ বুধবার সকালে জানাজার জন্য নিহত ছাত্রের মরদেহ ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাহমুদের মরদেহ প্রথমে চারুকলা অনুষদে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর সকাল সোয়া ১০টার দিকে জানাজার জন্য তাঁর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।