স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে থানায় হাজির স্ত্রী

গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্বামীর (৩১) গোপনাঙ্গ কেটে তাকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে থানায় গেছেন স্ত্রী। তালাবদ্ধ ঘর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয়রা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দিনগত মধ্যরাতে শ্রীপুর পৌর এলাকায় কেওয়া দক্ষিণ খন্ড গ্রামের চেয়ারম্যানবাড়ি মোড় এলাকায় আমান উল্ল্যাহ্ আমাদের মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী যুবকের নাম মো. শরিফ (৩১)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত হনুফা (৩০) একই জেলার শ্রীপুর উপজেলার গাজিয়ারন গ্রামের আবু হানিফ বেপারীর মেয়ে। তিনি শরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী। ৮-৯ মাস আগে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর হনুফাকে বিয়ে করেন শরিফ।

ভুক্তভোগী যুবকের বাবা আলাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তিন বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে শরিফের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাকে বাড়িতেও ঢুকতে দিতাম না। বছরখানেক তার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। ওরা যে বিয়ে করছে তাও আমরা জানতাম না।’

বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ আমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান, রোববার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তার বাড়িতে একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নেন শরিফ। তখন জানানো হয়েছিল তিনি জয়দেবপুর এলাকায় চাকরি করেন। পাশাপাশি স্ত্রী ঘরে সেলাইয়ের কাজ করেন। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের কলহ ছিল কি না তা তাদের জানা ছিল না। সোমবার দিবাগত রাত ৩টা সাড়ে ৩টার দিকে তাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ তাকে হাসপাতালে নেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজান জানান, তিনি রাতে ওই এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন। এসময় থানার ডিউটি অফিসার তাকে ফোনে জানান, স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে এক নারী থানায় হাজির হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে এসেছেন।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত নারী হনুফা বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে শ্রীপুর থানা থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে বুকের ব্যথা না কমায় তাকেও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Share this news on: