বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজনের পেছনে কত মৃত্যু?

বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে ১২ জন শ্রমিক মারা গেছেন। যাদের বেশিরভাগ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নির্মানাধীন স্টেডিয়াম, কনস্ট্রাকশন সাইট হোটেল রিসোর্টের নির্মাণকাজে গিয়ে মারা গেছেন। তবে কাতার সরকার বলছে, যত লোক মারা গেছে তার ৮০ ভাগের উপরে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

দা গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এসব তুলে ধরেছে।

২০১০ সালে ফিফা কাতারকে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়। এরপর থেকে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিক দেশটি মারা যান।

মূলত এই শ্রমিকরা ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং নেপাল থেকেই কাতারে কাজ করছিলেন।

দা গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, ভারত থেকে ২৭১১ জন, নেপাল থেকে ১৬৪১ জন, বাংলাদেশ থেকে ১০১৮ জন, পাকিস্তান থেকে ৮২৪ জন ও শ্রীলংকা থেকে ৫৫৭ জন কাতারে শ্রমিক কাতারে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের পরিসংখ্যান বলছে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১২ জন মারা গেছেন।
মৃত্যুর কারণগুলো নিয়ে রয়েছে রহস্য। বাংলাদেশের একজন মোঃ শহিদ পানিতে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

তবে এত মৃত্যু নিয়ে কাতার সরকারের বক্তব্য হলো , মৃত্যুগুলোর ৮০ ভাগ স্বাভাবিক যেমন হার্ট বা শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতাসহ নানা অসুখে।

কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য গত কয়েক বছর ধরে ব্যাকপ নির্মাণযজ্ঞ চরছে। বানানো হয়ে ৭টি নতুন ফুটবল স্টেডিয়াম। এছাড়া নতুন এয়ারপোর্ট, মেট্রো সিস্টেম, শতাধিক হোটেল ও নতুন রাস্তা বানিয়েছে কাতার সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ শ্রমিকরা মারা গেছেন| কাতারের কনস্ট্রাকশন সাইটে যাতে ধারণা করা যায় মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক ছিল না। তবে কি বিশ্বকাপের জমকালো আয়োজনের জন্য এত মৃত্যু- প্রতিবেনে এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছে।

Share this news on: