রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে সমাজে তাদের প্রতি সম্মান ক্রমশ কমছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের সম্মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মাঠে ৫৩তম সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই জমকালো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জিন তিরোলে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগ দেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পত্রিকা খুললে মনে হয়, কিছু উপাচার্যের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে পরিবারের সদস্য ও অনুগতদের চাকরি দেয়া এবং বিভিন্নভাবে প্রশাসনিক ও আর্থিক সুবিধা নেয়া।’
গুটিকয়েক অসাধু লোকের কর্মকাণ্ডের কারণে সমগ্র শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা যাবে না উল্লেখ করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখভালের ওপর জোর দেন তিনি।
আবদুল হামিদ বলেন যে অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিকে ঐচ্ছিক দায়িত্ব মনে করেন, কারণ তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন কোর্স বা ক্লাস নিতে পছন্দ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষকরা সমাজে নেতৃত্বদানকারী ও সম্মানিত ব্যক্তি হওয়ায় তারা পেশার প্রতি দায়িত্বশীল হবেন এটাই সবার প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও একাডেমিক শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠুক।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষকসহ যেকোনো নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।