ভ্যালেনটাইনস ডে-এর নেপথ্যে একটি নৃশংস প্রথার কথা তুলে ধরেন অনেকে। সত্যিই কি সেটি কারণ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ভ্যালেনটাইনস ডে নিয়ে প্রচলিত আছে বেশ কিছু ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তার মধ্যে এটি একটু অন্যধারার। প্রাচীন রোমকে ঘিরেই এই ইতিহাস। ভ্যালেনটাইনস ডে সবসময় প্রেমের আমেজ নিয়ে আসে তা নয়।
মনে করা হয়, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় রোমানরা লুপারক্যালিয়া পালন করত। এই অনুষ্ঠানে দেদার মদ্যপান চলত। এর সঙ্গে ভ্যালেনটাইনস ডে-এর কোনও যোগাযোগ ছিল না।
বরং এক একটি নৃশংস বর্বর প্রথা চালু ছিল অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে। এই বিশেষ প্রথায় মদ্যপানের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের মারা হত। সন্তানধারণের ক্ষমতা বাড়াতে তাদের পিঠে চাবুক মারা হত। ব্যবহার করা হত উৎসর্গিত ছাগলের চামড়া।
পঞ্চম শতকে পোপ জেলাসিয়াস এই প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মহিলাদের উপর নৃশংস আচরণ। অনেক পরে ১৪ শতকে জেফ্রি চসার ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে প্রথম কবিতা লেখেন।
ভ্যালেনটাইনস ডে-কে পাখিদের সাক্ষাত ও সঙ্গমের দিন বলে উল্লেখ করেন সেখানে। সেই থেকে দিনটির সঙ্গে প্রেমের আমেজ জড়িয়ে যায়। তবে এর পাশাপাশি ছিল সেন্ট ভ্যালেনটাইন প্রবাদপ্রতিম গল্প।
১৪ ফেব্রুয়ারি রোম্যান্সের ছোঁয়া পেল জেফ্রির কবিতাতেই। তবে এর সঙ্গে প্রাচীন রোমের গর্ভধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রথার যোগ নেই বলেই মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।