‘বৃহৎ অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশের সামনে অনেক সুযোগ’

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) উপ-মহাপরিচালক সাংচেন ঝাং মনে করেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার পর বাণিজ্যে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে।

তিনি বলেন, আরও বৃহৎ আকারের অর্থনীতি হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে। এদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সবচেয়ে বেশি দরকার বেসরকারি বিনিয়োগ।

শনিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডব্লিউটিও উপ-প্রধান এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এফবিসিসিআইর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ মেগা ইভেন্টে সাতটি দেশের মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের অতিথি এসেছেন। ১৭টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন। এসেছেন ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

সাংচেন ঝাং বলেন, বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থিত একটি দেশ। এ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। বাংলাদেশের ডায়নামিক তরুণ উদ্যোক্তারা নতুন নতুন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে চলেছে।

তিনি আরও মনে করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য নিয়ম-কানুন সহজ করা এবং স্বচ্ছতা বাড়ানো জরুরি এবং বাংলাদেশ এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে। ডব্লিউটিও বাংলাদেশের স্বার্থে কাজ করেছে এবং এদেশের আগামীর উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতে প্রস্তত।

সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মজিদ বিন আবদুল্লাহ আল খাসাবি, চীনের ভাইস মিনিস্টার ফর কমার্স কিয়ান কেমিং, যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলইয়ান প্রমুখ।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতিরা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতা ও বেসরকারি খাতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উদ্বাধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Share this news on: