লঙ্কানদের সঙ্গে হেরে এশিয়া কাপের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বাঁচামরার ম্যাচে লঙ্কানদের যেভাবে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তাতে মনেই হচ্ছিল এই যাত্রায় জিইয়ে থাকবে বাংলাদেশের এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের স্বপ্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২১ রানে হেরে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের এশিয়ার বিশ্বকাপ মিশন।

এদিন ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলে লঙ্কানরা। জবাবে ২৩৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কিন্তু ব্যক্তিগত ইনিংসটা বড় করতে পারেননি কেউই। ২৮ রানে মিরাজ ও ২১ রানে নাঈম আউট হন। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন সাকিব-লিটন। সাকিব ৩ লিটন ১৫ রান করেন।

৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরার প্রয়াস চালান মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়। দুজন মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ৪৮ বলে ২৯ রান করে আউট হন মুশফিক। এদিকে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে করেছেন ৮২ রান। এছাড়া শামীম ৫, তাসকিন ১, শরিফুল ৭ ও নাসুম ১৫ রান করেন। আর ১০ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো সূচনার ইঙ্গিত দেন দুই লঙ্কান ওপেনার। কিন্তু জুটি বড় করতে পারেননি তারা। হাসান মাহমুদের করা বলে ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হন দিমুথ করুনারত্নে।

দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ৬০ বলে ৪০ রান করা নিশাঙ্কাকে ফেরান শরিফুল। নিজের করা পরের ওভারে ৫০ রান করা কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন এই টাইগার পেসার। ১০ রান করেন আশালাঙ্কা। ৬ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

এদিকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলনেতা দাসুন শানাকাকে নিয়ে দারুণ ব্যাট করে যান সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনে গড়েন ৬০ রানের জুটি। ২৪ রান করে আউট হন শানাকা। এদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের সেঞ্চুরির পথে ছিলেন সামারাবিক্রমা। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৯৩ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। এছাড়া দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।

Share this news on: