চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে তার সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল হয়েছে বছর দুয়েক আগে। এবার সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদও বাতিল করা হলো।
শনিবার ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার পিয়াংকা শুটিং হাউজে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন। সেখানে বসেই সমিতির নেতারা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এই অ্যাকশন নিয়েছেন।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তিনি জানান, বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ খারিজ ঘোষণা দেওয়া হয়।
কিন্তু কেন বাতিল করা হলো জায়েদ খানের সদস্যপদ?
এ প্রসঙ্গে ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনোরূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনি সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে বনভোজনের দিন শনিবার জায়েদ খান অভিযোগ করেন, তাকে বনভোজনের কোনো দাওয়াত কার্ড পাঠানো হয়নি। এমনকি কেউ ফোন দিয়েও তাকে বনভোজনের বিষয়ে বলেননি।
অভিযোগের সুরে এই অভিনেতা বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে এই কমিটি (কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ) কোনো কাজ করেনি। একটা পিকনিক আয়োজন করেছে, সেখানে আমাকে কার্ড পাঠাতে পারতো, সেটা করেনি তারা। এটাকে তাদের ব্যর্থতা বলব আমি।’
জায়েদ খান শিল্পী সমিতির দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। গতবারের নির্বাচনেও তিনি জিতেছিলেন শিল্পীদের ভোটে। তবে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ অর্থাৎ, টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড। ফলে সাধারণ সম্পাদক হন নিপুণ আক্তার।
এরপর আদালতে মামলা করেও শেষমেশ জিততে পারেননি জায়েদ খান। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের রায়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণই বহাল থাকেন। এবার শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদও গেল জায়েদ খানের।