মুন্সিগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১

মুন্সিগঞ্জের সদরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ একজনসহ আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি চরডুমুরিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত পারভেজ খান ছোট মোল্লাকান্দির চরডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গুলিবিদ্ধ আরেকজন হলেন একই গ্রামের মোহাম্মদ রাব্বি খাঁ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাওন বলেন, গুলিবিদ্ধ দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খানকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সঙ্গে আহমদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ান দুই গ্রুপের সমর্থকরা । মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় গ্রাম দুটি। এতে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়ি। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আহমদ গ্রুপের আহমদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মী-সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পারভেজ ও রাব্বিকে গুলি করে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ মারা গেছে। এছাড়াও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে আমাদের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে। 

Share this news on: