ভারতের বর্তমান বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
বিজেপির এই সিদ্ধান্ত ভারতের গণতন্ত্রের সুনামকে ক্ষুণ্ণ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারেরও নিন্দা করেছেন অমর্ত্য সেন।
কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা এবং নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে উপত্যকাকে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্তকে ‘ঔপনিবেশিক অজুহাত’ আখ্যা দিয়ে অমর্ত্য বলেন, ‘এভাবেই ব্রিটিশরা ২০০ বছর এ দেশে শাসন চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে কাশ্মীরে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া যাবে না।’
ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে কাশ্মীর নিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি গর্বিত নই। কারণ গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের যে অগ্রগতি, এই ধরনের কাজ সেই সুনামকে ক্ষুণ্ণ করে।’
৮৫ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সব মানুষের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন চাপিয়ে দেয়া, গণতন্ত্রে যা কখনোই কাম্য নয়।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিসহ কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারের নিন্দা করে অমর্ত্য বলেছেন, ‘নেতাদের অন্তরীণ করে, জনগণের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব না দিয়ে কোনও সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। মানুষকে ন্যায় বিচার দেয়াও যায় না।’
কাশ্মীরের জমি-সম্পত্তি বাইরের লোকের কেনাবেচার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় সেখানকার মানুষের উদ্বেগের বিষয়টিকে যুক্তিসঙ্গত বলে বর্ণনা করেন অমর্ত্য।
তিনি বলেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত তো সেখানকার মানুষকে নিতে দিতে হবে।’
টাইমস/এসআই