ভারতে আট মাসে ১১ যুদ্ধিবিমান বিধ্বস্ত

ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো একের পর এক বিধ্বস্ত হচ্ছে। চলতি বছরেই ১০টি ঘটনায় অন্তত ১১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় পাইলটসহ কমপক্ষে ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ। মাত্র ৮ মাসে এতগুলো দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেনি ভারতীয় বিমান বাহিনী।  

৮ আগস্ট ভারতের আসামের তেজপুরে টহল দেয়ার সময় সুখোই এসইউ এমকেআই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে বিমানের দুই পাইলটই বেঁচে যায়। তবে একজন পাইলট গুরুতর আহত হন।

এছাড়া গত ৩ জুন ১৩ আরোহীসহ নিখোঁজ হয় এএন-৩২ বিমান। পরে বিমানটির বিধ্বস্ত অংশ উদ্ধার করা হয়। চীন সীমান্তবর্তী আসামের জোরহাটের মেচুকা বিমান ক্ষেত্রে যাওয়ার পথে এটি বিধ্বস্ত হয়।

মার্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ২টি মিগ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। রাজস্থানের বিকানারে ৮ মার্চ পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি মিগ-২১ ও মাসের শেষের দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যোধপুরে বিধ্বস্ত হয় মিগ-২৭।

ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ মাসে ৬টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তখন বালাকোটে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছিল।

১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয় মিরেজ ২০০০। এ ঘটনায় দুই পাইলট নিহত হন।

১২ ফেব্রুয়ারি কোনো ধরনের ত্রুটি ছাড়াই রাজস্থানের জয়সালমারে বিধ্বস্ত হয় মিগ-২৭। তবে সেই যাত্রায় পাইলট বেঁচে যায়।

১৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্গালুরুর একটি বিমানঘাঁটির কাছে বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় বিমান কসরত (অ্যাক্রোবেটিক) দল সূর্য কিরণের দুটি বিমান। এ দুর্ঘটনায় একজন পাইলট মারা যায়।

২৭ ফেব্রুয়ারি মিগ-২১ ও এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টার হারায় ভারত। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ভারতীয় মিগ-২১ ভূপাতিত করে পাকিস্তান। যদিও দুটি মিগ ভুপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। তবে ভারতের তরফ থেকে একটি বলে জানানো হয়।

বালাকোটে উত্তেজনার মধ্যে নিজেদের ভুলেই বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমআই-১৭ভি৫ হেলিকপ্টার। এ ঘটনায় ছয় ভারতীয় সেনা এবং ভূমিতে এক বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৭ জন প্রাণ হারান।

২৮ জানুয়ারি উত্তর প্রদেশে জাগুয়ার বিমান আকাশে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। গোরখাপুর বিমানঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণের জন্য আকাশে উড়েছিল বিমানটি।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: