দু’টি গর্ভধারণের মধ্যে আদর্শ ব্যবধান ১৮ মাস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একাধিক সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে দু’টি গর্ভধারণের মধ্যে আদর্শ ব্যবধান ১৮ মাস। তবে গবেষণা বলছে, এ ব্যবধান কমপক্ষে এক বছর হতে হবে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাতৃত্বকালীন মৃত্যুঝুঁকি এবং অপরিণত কিংবা কম ওজনের শিশুর জন্ম এড়াতে দুটি গর্ভধারণের মধ্যে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর ব্যবধান থাকা উচিত।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সন্তান জন্ম দেয়ার পর পুনরায় গর্ভবর্তী হওয়ার মধ্যে কমপক্ষে এক বছর ব্যবধান থাকলে তা বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে।

ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের যৌথ পরিচালনায় এ গবেষণাটি “জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিন” জার্নালে প্রকাশিত হয়।

কানাডার দেড় লক্ষ জন্মদান ঘটনার উপর ভিত্তি করে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সিনিয়র গবেষক ড. উয়েন্ডি নরম্যান বলেন, “গবেষণার ফলাফল বয়স্ক নারীদের এই সুসংবাদ দিচ্ছে যে, অন্তত এক বছর ব্যবধানে গর্ভধারণ তাদের অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করবে”।

“কারণ এই গবেষণার ফলাফল বলছে, ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের ক্ষেত্রে একাধিক গর্ভধারণের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কম হলে তা মা ও শিশু দুজনেরই জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ”- বলেছেন আরেক গবেষক লরা স্কুমার্স।

যেহেতু বয়স্ক নারীরা দ্রুত একাধিক সন্তান নেয়ার চেষ্টা করেন তাই তাদেরকে পুনরায় গর্ভধারণে অন্তত এক বছর অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন গবেষক লরা।

তবে গবেষণাটি যেহেতু কানাডার মহিলাদের নিয়ে হয়েছে তাই এর ফলাফল বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মহিলাদের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর হবে তা নিশ্চিত নয়।

 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে লিখেছেন এনামুল হক।

 

Share this news on: