সিলেটে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী আটক

সিলেটের তিন উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে এ ধড়পাকড় চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতারা।

রোববার রাতে বিভিন্ন উপজেলায় ২৪ সেপ্টেম্বর নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠের বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে একযোগে প্রচারপত্র বিলি করার সময় তাদের আটক করা হয়।

ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে আটক করা হয়- উপজেলা যুবদল নেতা মাওলানা বাহাউদ্দিন, যুবদল নেতা শামীম আহমদ ও চঞ্চল হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান রাফি। ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকরা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি। লিফলেট বিতরণকালে তাদের আটক করা হয়েছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে আটক করা হয়েছে-উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মাসুক আহমদ, ছাত্রদল নেতা রাশেদ আহমদ, জাকির আহমদ ও তারেক আহমদ। জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের ৫ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গোলাপগঞ্জ থেকে আটকরা হলেন- উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নোমান উদ্দিন মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমানের মিজান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ১২ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের আটকের খবর আসছে। এই গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক ছড়ানো হচ্ছে। যাতে সমাবেশে লোক সমাগম বন্ধ করা যায়। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা। সব জুলুম-নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তারের উপেক্ষা করে রেজিস্ট্রারি মাঠে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।

জেলা বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১২ জন আটকের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা। এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এর অংশ হিসেবে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের উপর গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: