ঢাকায় ১৫ বাড়ির মালিক গেণ্ডারিয়ার আ. লীগ নেতা দুই ভাই

গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভুঁইয়ার ঢাকায় ১৫টি বাড়ি আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার ওই দুই ভাই, তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এদের মধ্যে এনামুল হক ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন শেয়ারহোল্ডার।

র‍্যাব জানায়, এনামুল ও রূপনদের ১৫টি বাড়ি আছে ঢাকায়। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনামুলের ক্লাবের টাকা এনে বাসায় রাখতেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার জায়গাও হতো না। তাই টাকা দিয়ে তিনি সোনা কিনে রাখতেন।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে পাঁচটি সিন্দুক সরানো হয়েছিল। এর মধ্যে বানিয়ানগর মুরগিটোলায় গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা এনামুল হক ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়ার বাসায় তিনটি পাওয়া গেছে। সেখানে পাওয়া গেছে নগদ ১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, ৭২০ ভরি স্বর্ণের গয়না এবং দুইটি পিস্তল, দুইটি এয়ারগান ও একটি শটগান।

র‌্যাব বলছে, এনামুল হক এক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ড চলে গেছেন এবং তার ভাই রূপন ভূঁইয়া পলাতক। র‍্যাব তাকেও খুঁজছে।

অন্যদিকে লালমোহন সাহা স্ট্রিটে এনামুল হকের কর্মচারী আবুল কালামের বাসায় একটি সিন্দুক পাওয়া গেছে। সেটি ভাঙার পর পাওয়া গেছে দুই কোটি টাকা। ওই বাসা থেকে একটি পিস্তলও উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আর শরৎগুপ্ত রোডে এনামুল হকের বন্ধু হারুন-অর-রশিদের বাসায় পাওয়া গেছে পঞ্চম সিন্দুকটি। সেখানে আরও অন্তত দুই কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

গত রোববার মতিঝিলের চারটি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ক্লাবগুলো হলো- আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অভিযানে চারটি ক্লাবেই ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য ছাড়াও এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) করার নথি জব্দ করা হয়।

১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তার মালিকানাধীন ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়।

 আরও পড়ুন...

গেণ্ডারিয়া আ. লীগের দুই নেতার বাসায় মিলেছে বিপুল টাকা ও স্বর্ণ

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: