রাজধানী ঢাকার বিভ্ন্নি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সন্ধান পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এখনো এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এদিন মতিঝিলের ইয়ংমেনস, ওয়ান্ডারার্স, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবে অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চালিয়ে ১৮২ জনকে আটক করে র্যাব। জব্দ করা হয় ২৪ লাখ টাকা। ওই দিন এসব ক্লাব সিলগালা করে দেওয়া হয়।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীতে যেসব ক্যাসিনো চলত, সেগুলো চালাতে সহযোগিতা করতো নেপালের নাগরিকেরা। প্রায় ১০০ জন নেপালি এ কাজ করতেন। তাদের বেশির ভাগই রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি বাসায় থাকতেন। গত বুধবার ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ শনিবার র্যাব সদস্যরা জব্দ করেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত নেপালিদের পালানোর দৃশ্য।
সূত্র জানায়, ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে জড়িত নেপালিরা সেগুনবাগিচার সামিট হাসান লজ নামের একটি বাসার ফ্ল্যাটে ছিলেন। গত বুধবার ক্যাসিনো অভিযানের সময় রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে ওই বাসায় একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ তিনজন পুলিশ সদস্য যান। তারা ওই ফ্ল্যাটে ৫০ মিনিট অবস্থান করে বেরিয়ে যান। এর পরপরই ১৫ নেপালি খালি হাতে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান।
ওই বাসার দুই নিরাপত্তাকর্মী জানান, পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিচয় দিয়ে নেপালিদের ফ্ল্যাটে যেতে চেয়েছিলেন। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সেখানে গেলেও পুলিশ সদস্যরা তাদের ফ্ল্যাটের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে চলে যেতে বলেন। ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরায় এর ফুটেজ আছে।
মতিঝিলের ইয়ংমেনস স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মচারীদের দাবি, এই ক্যাসিনো ব্যবসায় রাঘব বোয়ালরা জড়িত। রয়েছে নেপালের কিছু ব্যবসায়ীর অংশিদারিত্ব।
ইয়ংমেনস স্পোর্টিং ক্লাবের মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগের কিছু নেতা এ ব্যবসায় জড়িত। ক্যাসিনো পরিচালনার জন্য নেপাল, থাইল্যান্ড থেকে প্রশিক্ষিত নারীদের আনা হত। প্রশিক্ষিত জুয়াড়ির পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রহরীও আনা হত বিদেশ থেকে। অভিযানের দিন নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সূত্র: চ্যানেল২৪
টাইমস/এইচইউ