প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে ইবতেদায়িতে পাশেরহার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবনে পিইসি ও জেএসসি ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। পরে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
ফলের সারসংক্ষেপ হাতে পেয়ে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় পাস করা সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের ভয় কেটে গেছে।
এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন। আর ইবতেদায়ীতে ১২ হাজার ২৬৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
অপরদিকে ১ নভেম্বর শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন বা ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন।
যেভাবে জানা যাবে ফল:
প্রাথমিক সমাপনীর ফল মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে জানা যাবে।
আর ইবতেদায়ির ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
এসএমএস লেখার সময় সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের EMIS কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।
এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর-এর ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল জানা যাবে।
টাইমস/এএস/এইচইউ