রংপুরে আটকের পর ফাঁড়িতে মৃত্যু, পুলিশ-এলাকাবাসী দফায় দফায় সংঘর্ষ

আটকের পর পুলিশ ফাঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে রংপুরের পীরগঞ্জে। উপজেলার ভেণ্ডাবাড়ি ফাঁড়ির ওই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। 

গ্রামবাসীর অভিযোগ, আটক ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ফাঁড়ির পুলিশ। যদিও এ দাবি অস্বীকার করে পুলিশ বলেছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।

এ দিকে ওই ঘটনার পর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন গ্রামবাসী। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এএসপিসহ আট পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

জানা গেছে, বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভেণ্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আসামির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে নামেন গ্রামবাসী। নিহত শামসুল হক (৫৫) পীরগঞ্জের শান্তিপুর মির্জাপুর এলাকার মৃত মফিজউদিনের ছেলে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ জানান, শামসুল হককে চোলাইমদসহ মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার সকাল পৌনের ৯টার দিকে হাজতের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গায়ের ফতুয়া দিয়ে তার ফাঁস দেয়া মরদেহ দেখা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি করে। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ডি সার্কেল হাফিজুর রহমানসহ আট পুলিশ আহত হয়েছেন।

এদিকে পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, শামসুল ইসলাম তার পরনের ফতুয়া দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু গ্রামবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে শামসুল ইসলামকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করে। ওই সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টি এ এম মোমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানায় শামসুল ইসলামের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ইউএনও জানিয়েছেন, সুরতহালে লাশের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

 

টাইমস/এমএস 

Share this news on: