জম্মুও কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই দেশের সেনা ও বেসামরিক লোক মারা গেছে বলে খবরে প্রকাশ।
ভারতীয় সেনাদের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার তাংধার সেক্টরে রোববার ভোর রাতে হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে দুই ভারতীয় সেনা ও একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিন জওয়ান ও ৫ গ্রামবাসী। পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৬টি বাড়ি। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। ভারতীয় সেনার একটি সূত্রের দাবি, চার থেকে পাঁচ জন পাক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। নীলম উপত্যকায়, কুপওয়াড়ার তাংধর সেক্টরের বিপরীতে পাকিস্তানের চারটি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটারে দাবি করেছেন, ‘ভারতীয় সেনারা বিনা প্ররোচনায় অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে আজাদ কাশ্মীরের জুরা, শাহকোট এবং নওসেরা সেক্টরে সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করেছে। পাক সেনা তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ৯ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দু’টি বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গোলাগুলিতে একজন পাক সেনা ও তিন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আরও দুই জওয়ান এবং পাঁচ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।’
তবে পাকিস্তানের ডন নিউজ দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলছে, রোববার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনারা ‘নির্মম ও নির্বিচারে’ হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ছয় গ্রামবাসী এবং একজন পাক সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত নয় গ্রামবাসী।
ডনের খবরে আরও বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালে এটিই ভারতীয় বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা। একদিনে এত নিহতদের ঘটনা এ বছর আর ঘটেনি।
গত ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রতিবেশী এ দুই দেশের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।
৩৭০ ধারা বিলোপের পর দুই দেশের সীমান্তে গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টাইমস/এসআই