এবার থাইল্যান্ডে বৈধতা পেল গাঁজা

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট গাঁজার উপর বৈধতা দিয়েছে। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শারীরিক ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন করা এদেশের প্রচলিত রীতি ছিল। পরে দেশটি গাঁজার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

মঙ্গলবার দেশটির সংসদে ১৯৭৯ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে। তবে আপাতত সেখানে গবেষণায় ও ঔষধ বানানোর ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহার করা হবে।

টেলিভিশনে প্রচারিত সংসদীয় ভাষণে খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান সোমচাই সাওয়াংকার্ন বলেন, জাতীয় আইন পরিষদের পক্ষ থেকে এটি থাইল্যান্ড সরকার ও তার জনগণের জন্য নববর্ষের উপহার। আগামী বছর আইনটি বাস্তবায়নের পর গাঁজা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবে সরকার।

২০১২ সালে উরুগুয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজাকে বৈধতা দেয়। সে বছরই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন আর কলোরাডোর নাগরিকরা গাঁজা ব্যবহারের বৈধতা নীতির সমর্থন করেন। চলতি বছর অক্টোবর মাসে গাঁজা বিক্রি ও ব্যবহারে বৈধতা দিয়েছে কানাডার সরকার। এছাড়া গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছে অষ্ট্রেলিয়া ও ইসরাইল। আর চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে অনেক দেশই।

দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই গাঁজা ব্যবহারকে অবৈধ এবং নিষিদ্ধ মনে করে। এখানকার অনেক দেশে অবৈধভাবে গাঁজা সেবন বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় । সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় গাঁজা পাঁচারের সঙ্গে জড়িত থাকলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: