বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। সম্প্রতি তাকে একটি সিনেমা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাও আবার বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নয়। তাকে বাদ দেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী।
ঘটনা হলো, কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দত্তা’। এতে অভিনয় শুরু করেছিলেন ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ফেরদৌস।
এই ছবির কাজে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-ফেরদৌসকে নিয়ে ভারতের বোলপুরে আউটডোর শুটিং প্রায় শেষ করে এনেছিলেন পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী। কিন্তু ফেরদৌসের ভারতের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরবর্তী অংশের শুটিংয়ে তিনি অংশ নিতে পারছেন না।
মূলত এই কারণেই ফেরদৌসকে বাদ দিয়ে নতুন করে শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানালেন পরিচালক।
পশ্চিমবঙ্গে ফেরদৌসের দীর্ঘদিনের পরিচিতি। ছবির শুটিং ও যাবতীয় কাজে অনবরত ঢাকা-কলকাতা যাতায়াত করতেই থাকতেন এ নায়ক। কিন্তু মাঝে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে অংশ নেয়ায় ভারত সরকার ফেরদৌসকে ভারত ছেড়ে চলে যাবার পাশাপাশি তার ভিসাও বাতিল করে দিয়েছিল। এতেই বাদ পড়ে যান ফেরদৌস।
এদিকে পরিচালক আরও জানান, আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ‘দত্তা’ সিনেমার শুটিং আবার শুরু করবেন তিনি। ছবির প্রধান চরিত্র ‘বিজয়া’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর ‘নরেন’-এর ভূমিকায় থাকছেন জয় সেনগুপ্ত। বিলাসবিহারীর চরিত্রে প্রথমে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
পরিচালক আরও জানিয়েছেন, ফেরদৌসের ভিসা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আমরা প্রায় ৬ মাস অপেক্ষা করেছিলাম। অনেক চেষ্টাও করলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই আশার আলো না দেখার কারণে তার পরিবর্তে বিলাসের চরিত্রে সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে নিলাম।
এর আগেও শতবর্ষ পেরোনো ‘দত্তা’ উপন্যাস নিয়ে ছবি হয়েছে। ১৯৫১ ও ১৯৭৬ সালে দু’বার এই উপন্যাস অবলম্বনে ছবি তৈরি হয়েছিল বলে জানা গেছে।
টাইমস/জেকে/এসআই