ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) তিন কর্মকর্তাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নয় কোটি ৫৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার মামলার অভিযোগপত্র বুধবার দুদকের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তা জমা দেয়া হয়।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের উপপরিচালক শেখ আবদুস ছালাম পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভবন নির্মাণের ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতে তারা জড়িত। মামলার তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত একজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। নতুন করে আসামি করা হয় ২৭ জনকে। সব মিলিয়ে ৩১ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে আসামি হয়েছেন ইউসিবিএলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইখতেয়ার উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন পাঠান, শান্তিনগর শাখার সাবেক অপারেশনস ম্যানেজার মসিউদ্দিন হোসাইন।
আর অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সাবেক ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি (সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট) সালেহ আহমেদ ভূঁইয়া।
বাকি আসামিরা হলেন- আলমপনা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদ, সাইদুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল হাই, নাসিরউদ্দিন হালু, স্বপন কুমার পাল, জামান মোস্তফা, মো. সামির, শহিদুজ্জামান, আরিফ পাভেল, রাশেদ শিকদার, জাকির হোসেন, হারুন অর রশীদ কাজী, ফয়সাল দস্তগীর, জাকির হোসেন মিন্টু, জেসমিন খান সুমী, আবুল কাশেম, মুজাফফর আহম্মদ, ছবি রানী কুণ্ডু, কাজী মোহাম্মদ ইয়াসিন, হারুন অর রশীদ, আবদুর রশীদ মৃধা, সৈয়দ জাহিদ হোসেন, শামীম আক্তার, মনসুর আলম খান, সৈয়দ আরিফ মোস্তফা, লিয়াকত হোসেন, কাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু ও মনজুর আলম।
দুর্নীতি ও জালিয়াতি এবং জাল নকশার মাধ্যমে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তোপখানা রোডে আলমপনা ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৫ তলা ওই ভবনের একই ফ্ল্যাট পরে একাধিক গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়।
টাইমস/এসআই