সুন্দরবনের জন্য বাংলাদেশের ক্ষতি করতে পারেনি ‘বুলবুল’

অতি প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে দুর্বল করতে এবারও বুক পেতে দিল সুন্দরবন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় অবদান রেখেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বুলবুল বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত আনতে পারেনি।

রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান।

তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে বাধা পেয়েছে। প্রথমে এটি সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের সাগরদ্বীপে আঘাত করে। এরপর এটি সুন্দরবনের খুলনা অংশে ঢুকে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের তিনদিক জুড়েই ছিল সুন্দরবন।

সুন্দরবনের গাছপালায় বাধা পেয়ে ‘বুলবুলের’ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটারে কমে যায়। ফলে জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতাও কমে আসে।

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, এ বছর যতগুলো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ সুন্দরবন পয়েন্ট কেন্দ্রিক হওয়ায় রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। কারণ, সুন্দরবন অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়গুলো পূর্ণ শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসতে পারে না।

বুলবুলের গতি কমার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। যখন ঘূর্ণিঝড় জলভাগের ওপর দিয়ে চলে, সেই জলভাগ ঘূর্ণিঝড়ের ওপর তেমন শক্তি প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু স্থলভাগে গাছ, স্থাপনা দাঁড়ানো থাকে। এগুলোর সঙ্গে সবসময় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ঘূর্ণিঝড়, বাধা প্রাপ্ত হয়; এ কারণে ওর মধ্যে রিটার্নিং ফোর্সের (বিরোধী শক্তি) কারণে গতি আস্তে আস্তে কমে যায়।’

এর আগে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা একইভাবে সুন্দরবনে বাধা পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: