ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সীমান্তে সহযোগীসহ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হাফিজুর রহমান ইকবালকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার ইকবাল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উজিরপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
ইকবাল উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের কেশবকাঠি গ্রামের বাসিন্দা রফিজ উদ্দিন মৃধার ছেলে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুল আজাদ ওরফে রিপন (৪৮) বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর কলোনি মহল্লার বাসিন্দা।
তিনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘হাফিজুর রহমান ইকবালের বিরুদ্ধে ঢাকার রমনা থানায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ও উজিরপুর মডেল থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি (ইকবাল) পলাতক আসামি।’
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ভেলারপাড়া গ্রামে পাকা সড়কের একটি কালভার্টের কাছে দুজন ব্যক্তিকে ইজিবাইকে যেতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে যুবকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই ব্যক্তি কখনো বলেন, তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছেন, আবার কখনো জানান জরুরি কাজে ওই এলাকায় এসেছেন। তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় যুবকরা বিরামপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে থানার এসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ওসি মো. মমতাজুল হক বলেন, ‘বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় হাফিজুর রহমান ও মাহমুদুল আজাদ নামের দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার রমনা থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ছাড়াও নিজ নিজ থানায় দুটি করে পৃথক মামলা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে তারা দুজনই গ্রেপ্তার এড়াতে নিরাপদ রুট মনে করে বিরামপুরের কাটলা সীমান্তপথে চোরাকারবারিদের সহযোগিতায় ভারতে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে গ্রেপ্তারদের দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হবে।’
আরপি/ এসএন