জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের রেকর্ড

বিশ্বের অধিকাংশ দেশে জন্মহার বাড়ছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ উদ্বিগ্ন। সেখানে ব্যতিক্রম কেবল সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। জাপান জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। অধিকাংশ দেশ যেখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে জাপান সরকার।

সম্প্রতি জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জাপানে রেকর্ড সংখক জনসংখ্যা কমেছে এই বছর। যা জাপানে রেকর্ড সর্বনিম্ন জন্মহার। যেখানে ২০১৮ সালে ৯ লাখ ২১ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। যা ১৮৯৯ সাল থেকে গণনা শুরুর পর সর্বনিম্ন। আর ২০১৮ সালে নতুন জন্মনেয়া শিশুর সংখ্যা ২০১৭ সাল থেকে ২৫ হাজার কম। যা তৃতীয় বছরের মত এক মিলিয়নের নীচে।

অন্যদিকে ২০১৮ সালে মারা যায় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন জাপানি, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চ। ফলে স্বাভাবিক কারণে এ বছরে মোট জনসংখ্যা কমেছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার। যা যেকোন সময়ের জন্য সর্বোচ্চ।

সর্বশেষ ২০১০ সালে জাপানের জনসংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৫১ হাজার (প্রায়)। এর পর থেকে ক্রমেই জনসংখ্যা কমে আসছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাপানের জনসংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১২৪ মিলিয়নে। এভাবে জন্মহার কমতে থাকলে জাপানের জনসংখ্যা কমে ২০৬৫ সালে ৮৮ মিলিয়ন এবং ২১০০ সালে ৫০ মিলিয়নে নেমে আসতে পারে বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘায়ু দেশের অন্যতম একটি জাপান। যেখানে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বেশি ৬৫ বছরের উপরে। ২০৬০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা যাতে ১০০ মিলিয়নের নীচে না নামে সে লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। ইতোমধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালে এ খাতে ২ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১৮ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: