পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির বিশেষ আদালত।

মঙ্গলবার বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল এ রায় ঘোষণা করে। খবর দ্য ডন।

বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, সিন্ধ হাই কোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।

২০০৭ সালে অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারির জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সামরিক কর্মকর্তার বিচারের রায় এল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডন।

ডনের খবরে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার দায়ে ২০১৩ সালে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের হয়। পরের বছরের ৩১ মার্চ ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হলে ওই বছরই তার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ বিশেষ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে আপিল বিভাগ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিলে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়।

পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে পেশোয়ার উচ্চ আদালতের বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ এর নেতৃত্বাধীন বিশেষ আদালতের বেঞ্চ গত ১৯ নভেম্বর পারভেজ মোশাররফের মামলার শুনানি শেষ করে। সেসময় ২৮ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে সরকার পক্ষের নতুন আবেদনের শুনানে শেষে ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে আদালত।

১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেসময়কার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অপসারণ করে ক্ষমতায় আসেন মোশাররফ। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। গত ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। একই বছর ৫ এপ্রিল তার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৬ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মোশাররফ। বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: