নোয়াখালীতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করবে মানবাধিকার কমিশন

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামীকে মারধর করে সন্তানসহ ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনা তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তদন্ত করার কথা জানান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, রোববার সকালে তিনি তার এলাকার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। তখন তারা তাকে তোর কপালে শনি আছে বলে হুমকি দেন।

এরপর রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে বসতঘর ভাঙচুর করে ও তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বেঁধে রেখে তারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং গণধর্ষণ করে।

ওই গৃহবধূর স্বামী দাবি করেন, রোববার রাতে এলাকার মোশারফ, সালাউদ্দিন ও সোহেলসহ ১০-১২ জন লোক ঘরদুয়ার ভাঙচুর করে। তাকে ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগও রয়েছে। ভিকটিমের প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বোর্ড টিম বসে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

এ বিষয়ে চরজাব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, ভিকটিমের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। তবে তিনি ধর্ষণ হয়েছেন কিনা তা ডাক্তারি রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, নোয়াখালীতে এক নারীর গণধর্ষণের বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে তারা শুনেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কমিশন কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী করনীয় ঠিক করবেন।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on: