নোয়াখালীতে নারীকে ধর্ষণ: মূলহোতাসহ পাঁচজন গ্রেফতার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আলোচিত সেই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মূলহোতা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমীনসহ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, সুবর্ণচরের উত্তর ওয়াপদা এলাকার একটি মাছের খামার থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। মো. বেচুকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় এলাকার একটি ইটভাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে মো. বেচুকে গ্রেপফতার করা হয়।

এর আগে ঘটনা সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন মো. স্বপন, মো. সোহেল ও বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু। বাদশা আলমকে সেমাবার রাতে, স্বপনকে মঙ্গলবার রাতে এবং সোহেলকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। সোহেল এই মামলার প্রধান আসামি।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ভোটের দিন ভোট দেওয়া নিয়ে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সেই জের ধরে রোববার রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ইন্ধনে তার ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।

এরপর নয়জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমীনকে প্রধান আসামি করা হয়নি বলে বুধবার পুলিশের চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী। এ সময় তিনি মহিলাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর রাতে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

সুবর্ণচরের আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। আর বেচু (২৫) মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। আসামিদের তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন মধ্যবাগ্যা গ্রামের হানিফ, চৌধুরী, আবুল, মোশারেফ ও সালাউদ্দিন।

মামলার এজাহারে মোট নয়জনকে আসামি করা হলেও সেখানে রুহুল আমিনের নাম না থাকায় বুধবার রাতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন ওই নারী। তিনি ও তার স্বামী এখন নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: