পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালো ইরান

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস্‌ ফোর্সের কমান্ডার কাশেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইরানের প্রতিশোধ নেয়ার হুমকির জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হলে ইরানের ৫২টি স্থানে হামলা চালানো হবে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর ইরান এবার ২০১৫ সালের আলোচিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তেহরানে দেশটির মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর এ ঘোষণা দেয় ইরান। খবর বিবিসি

এক বিবৃতিতে দেশটি ঘোষণা করেছে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধ তারা আর মানবে না। পরমাণু উপকরণ সমৃদ্ধকরণ, মজুদ, গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে আর কোনো সীমাবদ্ধতাও তারা রাখবে না।

এদিকে রোববার সন্ধ্যায় বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এলাকা লক্ষ্য করে হামলার খবর পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, যে অন্তত চারটি রকেট দূতাবাস লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে। যদিও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান বিশ্বের ছয়টি পরাশক্তির সঙ্গে তার পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আসতে সম্মত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া, অর্থাৎ পি ফাইভ প্লাস ওয়ান নামে পরিচিত পরাশক্তিগুলি ছিল এই চুক্তির অংশীদার।

দেশটি তার পরমাণু কর্মসূচি বৃদ্ধি করায় কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। যদিও ইরান তার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছিল, কিন্তু তা বিশ্বাস করেনি বিশ্বের পরাশক্তিগুলো।

২০১৫ সালের চুক্তির পর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে ইরান। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরান সংবেদনশীল পরমাণু কর্মকাণ্ড সীমিত করতে রাজি হয়।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: