নিজের অভিনয়জীবনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা হিসেবে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবির কথা আবারও সামনে আনলেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, এই চরিত্রে ঢোকার মুহূর্ত থেকেই তাকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সঁপে দিতে হয়েছিল পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির হাতে। আলিয়ার ভাষায়, গাঙ্গুবাঈ হয়ে ওঠা মানে ছিল এক ধরনের বিশ্বাসের লাফ, যেখানে মাঝামাঝি কোনো জায়গা ছিল না।
আলিয়া স্বীকার করেন, ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় তিনি নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না, এই চরিত্র তিনি আদৌ পারতে পারবেন কি না। তবে বানসালির দিকনির্দেশনা ও আস্থাই তাকে সাহস জুগিয়েছিল। চরিত্রটি হয় পুরোপুরি সফল হবে, না হলে একেবারেই ব্যর্থ-এই তীব্র চাপ নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে। সেই তীব্রতাই পর্দায় গাঙ্গুবাঈকে আলাদা মাত্রা দেয় বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
শুটিং শেষ হওয়ার পরও গাঙ্গুবাঈ চরিত্রটি তাকে দীর্ঘদিন তাড়া করেছে বলে জানান আলিয়া। আবেগ, দায়িত্ব আর শক্ত মানসিকতার এই নারী চরিত্র শুধু দর্শকের মনেই নয়, অভিনেত্রীর জীবনেও গভীর ছাপ ফেলেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি আলিয়ার ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকে পরিণত হয়। এই ছবির জন্যই তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে নিজের প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন, সঙ্গে আসে সমালোচকদের প্রশংসা।
এই সফল সহযোগিতা আলিয়া ভাট ও সঞ্জয় লীলা বানসালির সৃজনশীল সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। সেই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এবার তারা আবার একসঙ্গে কাজ করছেন নতুন ছবি ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ, যেখানে আলিয়ার সঙ্গে রয়েছেন রণবীর কাপুর ও ভিকি কৌশল। আলিয়ার মতে, গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি প্রমাণ করে দেয়-বিশ্বাস আর কারিগরি দক্ষতা এক হলে, পর্দায় সত্যিই জাদু সৃষ্টি হয়।
পিএ/এসএন