ডিজে করতে গিয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে কি?

ডিজে সনিকা। বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় এক ডিজের নাম। তার পুরো নাম মারজিয়া কবির সনিকা। তবে শোবিজে ডিজে সনিকা নামেই পরিচিত তিনি।

বাংলাদেশ টাইমস-এর মুখোমুখি হয়েছেন ডিজে সনিকা। কথা বলেছেন ডিজে পেশায় আসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। পাঠকদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হল।

কেমন আছেন?

সনিকা: বেশ ভালো, আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছি।

ডিজে পেশায় কেন এলেন, কবে এলেন?

সনিকা: আসলেই নিজের ইচ্ছা থেকেই আসা। ডিজে হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করি ২০০৭ সালে। সেই থেকে আজও একই পেশায় আছি। কাজ করে যাচ্ছি।

ডিজের বাইরে কী কী করছেন?

সনিকা: মাঝে মাঝে টেলিভিশনে উপস্থাপনা করছি তবে আগে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি।

ডিজে হিসেবে মোট কয়টি শো করেছেন?

সনিকা: এ পর্যন্ত প্রায় সফলভাবে ১ হাজার শো করেছি।

সবাই কী ঠিকভাবে পারিশ্রমিক দেয়?

সনিকা: কেউ দেয় কেউ দেয় না। তবে যারা ঠিকভাবে দেয় না তাদের কাজ পুনরায় আর করি না।

শো করতে গিয়ে কোন বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে কি?

সনিকা: অনেক বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল একদিন। সেই দিন প্রায় ১ হাজার মানুষ মঞ্চের চারপাশে আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় বাড়ি ফিরেছি।

কোন নোংরা আবেদন?

সনিকা: অবশ্যই প্রত্যেক পেশায় নারীদের নোংরা আবেদন করা হয়। আমাকেও করা হয়েছিল। যেমন অনেকেই শো করতে আসার আগে খোলামেলা পোশাক পরে আসতে বলেন। তবে আমি কখনো তাদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরিনি। নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়েছি।

ডিজে পেশাকে অনেকেই খারাপ চোখে দেখে, আপনি?

সনিকা: আসলে খারাপ তো কিছু আছেই। তবে ডিজে মানেই মদ খেয়ে পড়ে থাকা নয়। ভালো ভালো কাজেও ডিজে অনুষ্ঠান হয়। তবে আমাদের দেশে কিছু ভালো ভালো ক্লাব চালু হলে আরো উৎসাহিত হত ডিজেরা।

আপনার করা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শো’র নাম?

সনিকা: বাংলাদেশে বিশ্বকাপের ক্রিকেট উদ্বোধনী শো, থাইল্যান্ডের ‘ইভরিবডি ইভেন্টস মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’, আমেরিকার ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড শো, বিপিএল এবং গত বছরের থার্টিফাস্ট নাইটে শ্রীলঙ্কার ওয়াটার এজ শো।

সর্বশেষ প্রশ্ন, আপনারও প্রিয় ডিজে কে?

সনিকা: নেদারল্যান্ডের আরমিন ভান বুরেন।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: