মন্ত্রীত্ব থেকে বাদ পড়লেন নুরুল ইসলাম নাহিদ

দেশের ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নতুন মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদে চাঁদপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. দিপু মনি।

রোববার বিকেলে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন ৪৬ জন সাংসদ। এর মধ্যে মন্ত্রী হিসেবে ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ১৯ জন এবং ৩ উপমন্ত্রী জন। তবে এদের মধ্যে নেই বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নাম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুরুল ইসলাম নাহিদ সিলেট-৬ আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ২০০৯ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি।

বিগত দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রী থাকা অবস্থায় দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। প্রাথমিক স্তরেই জেএসসি-পিএসসির মতো বড় পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর জন্যও তিনি সমালোচিত হন।

এছাড়া ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শকদের প্রতিবেদন দেয়ার ক্ষেত্রে ‘সহনশীল মাত্রায়’ ঘুষ খাওয়ার বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

অন্যদিকে তার সময়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু সাফল্যের পালক। তার সময়ে দেশের শিক্ষার হারের পাশাপাশি সাক্ষরতার হারও বেড়েছে। দশ বছর আগেও যেখানে বাংলাদেশের সার্বিক সাক্ষরতার হার ছিল অর্ধেক জনগোষ্ঠীরও কম, বর্তমানে তা দুই-তৃতীয়াংশে ওঠে এসেছে।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশে সার্বিক সাক্ষরতার হার ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ দশমিক ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতার হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানসহ অনেকে দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। ইউআইএসের তথ্যমতে ভারতে সার্বিক সাক্ষরতার হার ৬৯ দশমিক ৩০ ভাগ, নেপাল ৫৯ দশমিক ৬৩ ভাগ, ভুটান ৫৭ দশমিক ০৩ ভাগ ও পাকিস্তান ৫৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

ইউআইএস অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে দ্বিগুণ ৪৩৯৯.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৯৯৩.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে ৭ হাজার ৮৮৫ মিলিয়নেরও বেশি (৬৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা) বরাদ্দ করা হয়।

তার নীতিমালায় শিক্ষার মূল সম্পদ নিশ্চিত করা, শ্রেণিকক্ষ ও পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাইজেশন করা, শিক্ষাক্রম সংস্কার, সৃজনশীল প্রশ্ন চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on: