চার ওভারে ১ মেডেন নিয়ে দিয়েছেন মাত্র ১১ রান। ফিরিয়ে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের টপ অর্ডারের সেরা চারজন ব্যাটসম্যানকে। টি-টোয়েন্টিতে কতটা বিধ্বংসী আর কৃপণ বোলিং! কল্পনা করা যায়? মাশরাফির এমন বোলিং তান্ডবে মাত্র ৬৩ রানেই অলআউট হয়ে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মাশরাফি। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুটি ওভার ঠিকই সামলে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল আর এভিন লুইস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মাশরাফি।
দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তামিমকে। ১০ বলে ৪ রান করে আউট হয়ে যান কুমিল্লার এই আইকন ক্রিকেটার। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। ৪ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল এই ব্যাটসম্যান। একই ওভারের পঞ্চম বলে এভিন লুইসক সাজঘরের পথ দেখান মাশরাফি। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ এসে দাঁড়াতেই পারেননি।
প্রথম ছয় ওভারের মাঝেই মাশরাফির সামনে গুড়িয়ে গেছে কুমিল্লার ব্যাটিং লাইন আপ। এছাড়া পেস বোলার শফিউল ইসলাম ২ ওভারে ৮ রানে ২ উইকেট ও স্পিনার নাজমুল ইসলাম ৩ ওভার ২ বলে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
দলকে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে উত্তরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন শহীদ আফ্রিদি। ১৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করে ফেরেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
টাইমস/এএস/এইচইউ