নিরবে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস

দিনে দিনে নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি ও সংক্রমণের ধরণ নিয়ে গবেষকরা ধাঁধাঁয় পড়েছেন। এতদিন সবাই জানতো, ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এবার আমেরিকার ম্যাসাচুয়েটস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস অনেক সময় ব্যক্তির শরীরে লুকিয়ে থাকছে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। এসব রোগীরা হুট করেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে করোনাভাইরাসে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে ইউরোপ। এ অঞ্চলে হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

ম্যাসাচুয়েটসের গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস এখন নিরব ঘাতকের আচরণ নিয়ে টিকে আছে। প্রথম দিকে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখে করোনাভাইরাসের লক্ষণ বুঝা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন আর লক্ষণ দেখে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার পরিবেশ নেই।

মার্কিন এই গবেষক দল বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপ ধারণ করার কারণে রোগী চিহ্নিতকরণ কঠিন হয়ে পড়ছে। কাজেই এখন থেকে প্রত্যেককে আরও সচেতন হতে হবে। ঘরের বাইরে যাওয়া পরিত্যাগ করতে হবে। কারো সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় এখন নয়। কাজেই সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করা ছাড়া উপায় নেই।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৩ হাজার ৭৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে মারা গেছেন ৬৯ জন।

এদিকে চীনের পর করোনাভাইরাস সব থেকে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ইউরোপের ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে। এই তিন দেশে সোমবার ৪৯৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া এসব দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ইউরোপের প্রায় সব দেশের সুপার শপ ও পাবলিক এরিয়াগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছুঁইছুঁই।

এছাড়া স্পেনে সোমবার ৯৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৮৮। আর ফ্রান্সে একই দিনে ২৯ জনসহ সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ব্রিটেনেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দেশটিতে ১৪ জনসহ সর্বমোট ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ