সৌদি তরুণীকে অস্ট্রেলিয়াতে আশ্রয় দেয়ার সুপারিশ ইউএনএইচসিআরের

ইসলাম ত্যাগ করে ব্যাংককে পালিয়ে যাওয়া সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ মুতলাক আল-কুনুনকে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দেয়ার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। খবর বিবিসির।

৪ জানুয়ারি সৌদি তরুণী অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে সৌদি থেকে পালিয়ে ব্যাংকক আসে। সেখান থেকে অষ্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তার।

বিমানবন্দরের হোটেল কক্ষে বসে টুইটারে নিজের ও পাসপোর্টের ছবি দিয়ে রাহাফ বলেন, কুয়েতে পাঠানো হলে তার পরিবার তাকে সেখান থেকে সৌদি আরব নিয়ে হত্যা করবে। ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করায় পরিবার তার ওপর ক্ষুদ্ধ বলেও টুইটারে জানান এই তরুণী। সৌদি আইনে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। থাইল্যান্ড বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শুরুতে তাকে কুয়েত ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। সোমবার কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাহাফ হোটেল কক্ষ ছাড়তে অস্বীকার করেন।

জাতিসংঘের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তারা ইউএনএইচসিআরের সুপারিশের বিষয়টি বিবেচনা করবে। তবে সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বক্তব্য দেয়া হবে না।

বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকার রাহাফকে আশ্রয় দিতে রাজি হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেইগ হান্ট তেমনটাই জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমনিতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই একজন ব্যক্তিকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয়া হয়। তবে কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্র অপারগ হলে বা অনাগ্রহী হলে ইউএনএইচসিআরও কাউকে শরণার্থী ঘোষণা করতে পারে।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on: