ডেকে নিয়ে সাংবাদিককে নির্যাতন: ভোলায় ঢাবি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ফোন করে ডেকে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদে সাগর চৌধুরী নামে এক সাংবাদিককে নির্যাতনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বোরহানউদ্দিনের উপজেলা সড়ক এলাকার বাসা থেকে নাবিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। লালমোহন সার্কেলের এডিশনাল পুলিশ ‍সুপার রাসেলুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার নাবিল হায়দার ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে। নাবিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে এসএম হলের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাগর চৌধুরী জানান, বড় মানিকা ইউনিয়নের সরকারি নিবন্ধিত জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে বিতরণের কথা থাকলেও ওই ইউনিয়নে দেয়া হয় সর্বোচ্চ ২০ কেজি করে। এ ঘটনা আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীকে জানাই। এছাড়া রাতের আঁধারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার সময় আমি ছবি তুলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে মঙ্গলবার সকালে আমাকে ফোন করে জরুরি কথা বলার জন্য রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসতে বলে। আমি গেলেই সে আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে। আমি নাকি তার মোবাইল ফোন চুরি করার চেষ্টা করছি এটা বলে আরও মারধর করে। আমাকে মারধর করা অবস্থায় চোর বলে ফেসবুকে সে লাইভ করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় ভোলা সদর হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করা হয়।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির গাজী জানান, বড় মানিকা ইউনিয়নে জেলেদের চাল কম দেওয়া হচ্ছে-এরকম অভিযোগে জেলেদের বক্তব্যসহ একটি ভিডিও সোমবার সাগর আমাকে দেখায়। আমি তখনই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সচিবকে ফোন করে জানতে চাই। এ ঘটনায় সাংবাদিককে মারধর, নির্যাতন এটা ঠিক নয়, অন্যায়। এর বিচার প্রত্যাশা করি।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সাংবাদিক সাগর চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান আসামি ও আরও ৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: